পঞ্চগড়ের শিংরোড সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে দশরথ সরকার (৪০) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টায় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড-খালপাড়া সীমান্ত এলাকার ৭৬৫ নম্বর মেইন পিলারের ১৫ নম্বর সাব পিলারসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দশরথ সরকার মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম এলাকার প্রয়াত কালীপদ সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি বলে আটকের পর বিজিবিকে জানিয়েছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন শিংরোড বিওপির বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা সংবাদ পান শিংরোড-খালপাড়া সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। পরে সীমান্তের ৭৬৫ নম্বর মেইন পিলারের ১৫ নম্বর সাব পিলারসংলগ্ন খালপাড়া এলাকায় অভিযান চালান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা খালপাড়া এলাকায় শূন্যরেখার প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দশরথ সরকারকে আটক করেন বিজিবির সদস্যরা। পরে তাঁকে শিংরোড বিওপিতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দশরথ সরকার ভারতে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
বিজিবির শিংরোড বিওপির কোম্পানি কমান্ডার শেখ আমিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, দশরথ সরকার ভারতে তাঁর ফুফুশাশুড়ির বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মাদারীপুর থেকে রাতের অন্ধকারে এই সীমান্তে এসেছেন—এটা সন্দেহজনক। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে হয়তো তাঁর কোনো সহযোগী পালিয়ে গেছেন। আটক ব্যক্তিকে রাতেই পঞ্চগড় সদর থানায় পাঠানো হয়। রাতেই শিংরোড বিওপির হাবিলদার শফিউল আলম বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় দশরথ সরকার ও পলাতক অন্য এক ব্যক্তির নামে মামলা করেন।
আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় মুঠোফোনে বলেন, সীমান্তে আটক এক ব্যক্তিকে রাতেই থানায় নিয়ে আসে বিজিবি। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে।