
সম্প্রতি স্বর্ণের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুয়েতেও স্বর্ণের দাম বেড়েই চলেছে। একশ’ ফিলস কমলে তিনশ’ ফিলস বাড়ে। দামের এই ওঠানামা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, যা একদিকে ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্য দিকে সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
কুয়েতের বাজারে কয়েক মাসের ব্যবধানে গ্রাম প্রতি দাম বেড়েছে চার দিনারের উপরে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ১ গ্রামের দাম ২৯.৪৬৬ ফিলস যা বাংলাদেশী মূদ্রায় ১১৭৮০ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কুয়েতে ২২ ক্যারেট সোনার সর্বোচ্চ মূল্য ছিলো ২৫.৫৮০ দিনার, ফেব্রুয়ারিতে ২৭.০৭০ দিনার, মার্চে ২৮.৩২০ দিনার, এবং চলতি এপ্রিল মাসে ২২ ক্যারেট সোনার সর্বোচ্চ মূল্য ২৯.৬৮০ দিনার পর্যন্ত উঠেছিল।
যেখানে গত নভেম্বরে অর্থাৎ পাঁচমাস আগেও ছিলো ১ গ্রাম ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পঁচিশ দিনার তিনশ’ ফিলস যা বাংলাদেশী মূদ্রায় ১০১২০ টাকা। অর্থাৎ এই কয়েক মাসে ভরিতে বেড়েছে প্রায় বিশ হাজার টাকা। যা এ যাবত কালের সর্বোচ্চ মূল্য।
কুয়েতে স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। তাই এই মূল্য সবসময় এক থাকে না। দেশটিতে প্রত্যেকটি স্বর্ণের দোকানে সরকারের দেয়া অনলাইন মূল্য তালিকা রয়েছে। প্রতি তিন মিনিটে এই মূল্য পরিবর্তন হতে থাকে।
কুয়েতে সাধারণত স্বর্ণ বিক্রি হয় গ্রাম হিসেবে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শনিবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় চব্বিশ ক্যারেট ১ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ছিলো ৩২ দিনার ১০০ ফিলস (৩২.১০০ কুয়েতি দিনার) যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৮৪০ টাকারও বেশি। একুশ ক্যারেট ১ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ২৮ দিনার ১১৬ ফিলস। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এগারো হাজার ২৫০ টাকা।
বর্তমানে কুয়েতে মুদ্রা বিনিময় হাউজগুলোতে এক কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩৯৫ থেকে প্রায় ৪০০ টাকা দিচ্ছেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে সাথে যোগ হবে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রনোদনা।