
সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দৃশ্যমান হচ্ছে মিয়ানমারে ভূমিকম্পের ভয়াবহ চিত্র। তবে এত কিছুর মধ্যেও একটি স্বস্তির খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এদিকে, ধসে পড়া বহুতল ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১৭০০ পেরিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্যদিকে, ভোগান্তির শেষ নেই আহতদের। আহত অবস্থাতেই অনেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রিয়জনদের খুঁজছেন। নিজের সবটুকু দিয়ে স্বজনদের জীবিত উদ্ধারের আশায় বুক বাঁধছেন।
জানা গেছে, উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা সীমিত, আবার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হলেও নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম। এতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এছাড়া বিদ্যুৎ ও পানির সংকট আর তীব্র গরমে পরিস্থিতি আরও করুণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া আফটারশকের আতঙ্কও কাটেনি। তাই ঘরছাড়া হাজারো মানুষ খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটাচ্ছেন।
মিয়ানমারের দুর্গতদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। স্থানীয় সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ২০ লাখ ডলার সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ১০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়।
এদিকে, ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত থাইল্যান্ডও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু স্থাপনা। উদ্ধারকাজ চলছে। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও সংকট কতটা গভীর হতে পারে, তা বুঝতে আরও সময় লাগবে।