আগুনে পুড়েছে জলের গানের ভোকাল, যন্ত্রশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ি। এ নিয়ে গত ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয় নানামাত্রিক আলোচনা, সমালোচনা, নিন্দা। এমনকি ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমও রাহুলের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার শুরু করে। আজ (১৩ আগস্ট) মঙ্গলবার আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। সেখানেও ভুক্তভোগী শিল্পী রাহুল আনন্দ। সত্যিই কী ঘটেছিল বাড়িটি ঘিরে?
গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল থেকেই ক্ষুব্ধ লাখো মানুষ পদযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের দিকে। বাড়িটিকে অরক্ষিত রেখে সেখান থেকে সরে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। এতে বহু মানুষ বাড়িটির ভেতরে ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট করে। অনেকেই স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ করেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এ সময় হঠাৎ করেই জানা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে!
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িটি আজ কেবলই স্মৃতি। ছবি: মইনুল ইসলাম
সংবাদমাধ্যম সূত্রে মানুষ জানতে পারে ওই সময় আগুন দেওয়া হয় শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতেও। এই খবরে দুই পক্ষে ভাগ হয়ে যায় মানুষ। একদল মনে করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ায় রাহুলের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি দল মনে করেন দেশ অরক্ষিত হয়ে পড়ায় সুযোগসন্ধানী স্বার্থান্বেষী একটি পক্ষ এই কাজ করেছে। ঘটনাটি দ্রুত জানাজানি হয়ে গেলে নিন্দার ঝড় ওঠে। কারণ রাহুল আনন্দ ও জলের গান দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষের প্রিয়। দ্বিতীয়ত বাড়িটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত। তৃতীয়ত, এই বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।