সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম আবু তুরাবের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সমন্বয়কেরা। আজ মঙ্গলবার সকালে নগরের যতরপুর এলাকায় তুরাবের মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে এ আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
ধারাবাহিক সফরের অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট সফরকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দল এ টি এম তুরাবের বাসায় যান। এ সময় তুরাবের মা মমতাজ বেগম ও ভাই আবুল আহসান মো. আজরফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সান্ত্বনা দেন তাঁরা।
সমন্বয়ক দলের সদস্যরা তুরাবের মা মমতাজ বেগমের উদ্দেশে বলেন, এক ছেলে নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। এখন লাখো ছেলে তাঁদের পাশে আছে। তুরাবের পরিবারের যেকোনো ধরনের প্রয়োজনে তাঁরা পাশে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে তাঁর হত্যার বিচার ত্বরান্বিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ সময় তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ বলেন, তুরাব আগের দিনও গুলিতে আহত হন। পরদিন তাঁকেই টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। মিছিলে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ছিল, কিন্তু কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু যারা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের এখনো চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আজ সকালে সফরের শুরুতেই ঢাকা থেকে আসা ১১ জন ও জেলা পর্যায়ের সমন্বয়কেরা মিলে তুরাবের বাসায় যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের ঐতিহ্য ও মহত্ত্ব ধরে রাখা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দেওয়াই এই সফরের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে যাঁরা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি ছাত্র–জনতার মধ্যে ঐক্যে বজায় রাখতেই তাঁদের এই সফর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক রেদোয়ান আহমেদ, ফয়সল হোসেন, সিলেট জেলার সমন্বয়ক ফয়সল হোসেন, আবু সাইদ, দেলোয়ার হোসেন, গোলাম মর্তুজা এবং স্থানীয় নেতারা। পরে তাঁরা সিলেটের পুলিশ সুপারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।