
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি প্রায় ৩২ ঘণ্টা ধরে চলমান রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে অবস্থান করেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর ২টায় এসে কাকরাইল মসজিদের সামনে মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
গতকাল বুধবার দুপুর ২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৩২ ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চলছে।
এদিকে আন্দোলনের বিষয়ে শঙ্কা ও হতাশা প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হচ্ছে না। আমরা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমাদের শিক্ষকরাও অপেক্ষায়।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, উপাচার্য স্যার উপদেষ্টা আসিফ স্যারের বাসায় আছেন। এরপর তিনি বের হয়ে এসে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আন্দোলনের বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা টানা ৩৩ ঘণ্টা এখানে অবস্থান করছি। আমাদের দেখতেও কেউ আসলেন না। সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, সরকার কেন নির্লিপ্ত আমাদের নিয়ে? ঢাবির কিছু হলে সবাই দৌড়ে ছুটে যায়, তাহলে এখানে আসতে সমস্যা কোথায়?
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিন হাসান বলেন, উপদেষ্টা আসিফ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করছেন। তিনি উপাচার্যের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। এরপর সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এদিকে চলমান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা রাতের বেলায় সড়কে কলাগাছের পাতার তৈরি চাটাই বিছিয়ে রাত্রিযাপন করছেন।
দীর্ঘ এই আন্দোলনে খাবারের যোগান দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিষদ আন্দোলনকারীদের খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আন্দোলনকারীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।