রিশাদ হোসেন ও জাহানবাদের তোপে একশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে সেটি হতে দেননি আরিফুল হক।কিন্তু তার দলের সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। দুই ওপেনারকে দ্রুত হারালেও কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে সহজেই জিতেছে বরিশাল।
বিপিএলের ম্যাচে সিলেটে স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে স্রেফ ১০ ওভার ৩ বলেই জয় পায় বরিশাল।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই রনি তালুকদার আউট হয়ে যান। এরপর প্রথম ওভার সিলেট দেয় মেডেন। এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো নামা রাকিম কর্নওয়েল ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও শেষ করতে পারেননি। ১২ বলে ৪ চারে ১৮ রান করে শাহীন শাহের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এরপর জাকির হাসানের সঙ্গে জর্জ মানসির জুটিতে ভালো কিছুর আশা দেখতে থাকে সিলেট। নিজের প্রথম দুই ওভারে একটি উইকেট পেলেও শাহীন শাহ দেন ৩৩ রান। এই রানগুলো আসে জাকির-মানসি জুটিতে।
যদিও তাদের এই জুটি ভেঙে যায় কিছুক্ষণ পরই। এর আগে ২৩ বলে আসে ৪৯ রান। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন মানসি। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং। পরের ১৩ রানে ছয় উইকেট হারায় তারা।
শেষদিকে অবশ্য তারা একশ পার করে আরিফুল ইসলামের ব্যাটে। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ স্রেফ ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। তিন উইকেট পান জাহানবাদ খান।
অল্প রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ফরচুন বরিশালও। রাকিম কর্নওয়েলের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল। পরের ওভারে ৩ বলে ৪ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তও একইভাবে আউট হন তানজিম হাসান সাকিবের বলে। এ ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকাতেও দেখা যায় শান্তকে।
দুজনকে হারানোর পর অবশ্য আর বিপদে পড়তে হয়নি বরিশালকে। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে জুটি গড়ে হৃদয় দলের জয়কে নিয়ে আসে খুব কাছাকাছি। চার রান দূরে থাকতে ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হন হৃদয়। তার সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি ছিল মেয়ার্সের। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৫৯ রান করেন মেয়ার্স।