ঢাকা ক্যাপিটালসের বারংবার ব্যর্থতার মাঝে জ্বলে উঠেছিলেন এক সময় বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটারের তকমা পাওয়া সাব্বির রহমান। তার ছক্কা-ঝড়ে ১৭৭ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় খালেদ মাহমুদ সুজনের দল। তবুও হার-ভাগ্য বদলাতে পারল না ঢাকা। পাঁচ ম্যাচ খেলে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে দেখল টুর্নামেন্টের পঞ্চম হার।
ঢাকার দেয়া ১৭৮ রান তাড়ায় ৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে চিটাগং। ম্যাচসেরা হয়েছেন ২১ রানে ৩ উইকেট নেয়া খালেদ আহমেদ।
ঢাকার দেয়া ১৭৮ রানের তাড়ায় ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে চিটাগং। ১৭ রান করে বিদায় নেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে আরেক ওপেনার উসমান খান হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। রাজশাহীর বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানি এ ব্যাটার। ওয়ানডাউনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক করেন ৩৯ রান।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও শামিম হোসেনের ব্যাটে জয়ের চেষ্টা চালায় চিটাগং। শেষ দুই ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৩ রান। মিঠুন ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দিলে শামিম এক ছক্কা ও ২ চারে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন হয় আর মাত্র ৫ রান। ৩ বল হাতে রেখে তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পায় চিটাগং।
শামিম ১৪ বলে ৪ চার ও এক ছয়ে ৩০ রান করে অপরাজিত রইলেন। মিটুন ২২ বলে করলেন ৩৩।
এর আগে সাব্বির রহমানের ছক্কা-ঝড়ে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে ঢাকা। ১৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে স্কোর বোর্ডে তারা তুলেছিল কেবল ৮৮ রান। দুই বিদেশি জেসন রয় ও স্টেফেন এসকিনাজি ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। রয় ১ ও এসকেনাজি ৫ রান করেন। শাহাদাত হোসেন দিপুও দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। তবে ইনিংস ধরে রেখেছিলেন তানজিদ হাসান। তাকে একপ্রান্তে রেখেই সাব্বির রহমান খেলেন নায়কোচিত ইনিংস।
সাব্বিরের ঝড়ে ১৫তম ওভারে আসে ২৬ রান। পরের ওভারে ১৪। তানজিদ হাসান বিদায় নেন ৪৮ বলে ৫৪ রান করে। তবে সাব্বিরের ঝড় থামছিলই না। ২২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। থিসারা পেরেরা বিদায় নেন ১ রান করে। এরপর সাব্বিরকে সঙ্গ দেন ফরমানুল্লাহ সাফি। ৩৩ বলে শেষ পর্যন্ত ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। টি-টোয়েন্টিতে এটা তার চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০১৬ সালে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ১২২ রানের ইনিংসটি সবার শীর্ষে।
যে ইনিংসে সাব্বির চারের (৩) বেশি ছক্কাই মেরেছেন, সেটাকে তো তার ছক্কা-ঝড়ই বলতে হয়। ইনিংসে আর ছক্কা হয়েছে মোটে ২টি, ২টিই তানজিদ তামিমের। সাব্বির এর বেশি ছক্কা আর কোনো টি-টোয়েন্টি ইনিংসে মারেননি। ওই ১২২ রানের ইনিংসেও ছক্কা ৯টি।