নীতি প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রক সমস্যাগুলো সমাধান করার লক্ষ্যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অফিস চালু করেছে মালয়েশিয়া।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অফিসটি এআইয়ের জন্য একটি কেন্দ্রীভূত সংস্থা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৌশলগত পরিকল্পনা, গবেষণা ও উন্নয়নের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক তদারকিও প্রদান করবে।
একইদিনে দেশটির সরকার অ্যামাজন, গুগল এবং মাইক্রোসফ্টসহ ছয়টি সংস্থার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যা গত বছরে মালয়েশিয়ায় ডেটা সেন্টার, ক্লাউড এবং এআই প্রকল্প ঘোষণা করেছে।
মালয় মেইল বলছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত একটি কোড অব এথিকস, একটি এআই রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক এবং পাঁচ বছর মেয়াদী এআই টেকনোলজি অ্যাকশন প্ল্যানসহ প্রথম বছরে সাতটি ডেলিভারেবল নিয়ে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি তাদের নীতি প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রক সমস্যাগুলো সমাধান করার লক্ষ্যে অফিসটি চালু করেছে। একই সঙ্গে ক্লাউড ও এআই সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে গত বছর শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে মালয়েশিয়া।
এদিকে, মালয়েশিয়ার তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী গোবিন্দ সিং দেও বলেছেন, সামনের ডিজিটাল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশ ও জনগণকে প্রস্তুত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যখন ডিজিটালাইজেশনের কথা বলি, তখন আমরা তিনটি মূল স্তম্ভের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করি: অবকাঠামো, সুরক্ষা এবং প্রতিভা।
তিনি আরও বলেন, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং মালয়েশিয়ার অগ্রসর চিন্তার সক্ষমতার প্রতি বিশ্বব্যাপী আস্থা তৈরি করতে দেশটিকে অবশ্যই শক্তিশালী সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।