
আবারও কি ফিরছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক? সম্প্রতি হংকং ও সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের জের কাটিয়ে না উঠতেই কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবার ভারতেও।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ১২ মে থেকে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৪। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ২৫৭। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে- কেরালা, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য।
গত সপ্তাহে কেরালায় ৬৯টি নতুন কেস সামনে আসে। মহারাষ্ট্রে ৪৪টি ও তামিলনাড়ুতে ৩৪টি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে দু’জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের করোনায় মৃত্যু হয়নি। কিন্তু, উভয়েই কোভিড পজিটিভ ছিলেন।
মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে মোট ৫৬ জন করোনা পজিটিভ। মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে সম্প্রতি দু’জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে একজন ৫৯ বছরের ক্যানসার আক্রান্ত এবং অপর একজন ১৪ বছরের এক কিশোরী, যে কিডনি রোগে ভুগছিল। এরা করোনাতেও আক্রান্ত ছিলেন।
তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে কেন কোভিডের উল্লেখ করা হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫৯ বছরের ওই নারীর মৃতদেহ তার পরিবারকে হস্তান্তর করেনি। সেখানকার সাবেক কর্পোরেটর অনিল কোকিল বলেন, ‘ভোইওয়াডা শ্মশানে ওই মহিলার মৃতদেহের সৎকার করা হয়েছে। প্রোটোকল মেনে সেখানে পরিবারের মাত্র দুই সদস্য ছিলেন।’
২০২০ থেকে ২০২২, চোখের সামনে ভেঙে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা পড়েছে সঙ্কটে। একটা ভাইরাসের সামনে অসহায়ের মতো হাঁটু মুড়ে বসেছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ঘরে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য-প্রতিরক্ষাকে পোক্ত করতে লেগে গেছে বেশকিছু দিন। প্রশ্ন উঠেছে, আবার কি সেই দিন ফেরার পথে? চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিসংখ্যানও।
সম্প্রতি হংকং ও সিঙ্গাপুরসহ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। উদ্বিগ্ন দুই জায়গারই প্রশাসন।
সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বেশি থাকায় এ নিয়ে উদ্বেগ আছে নয়াদিল্লিতেও। এ নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত রাজ্যের চিকিৎসক মহল। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশিকা জারি করেনি রাজ্য কিংবা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর।