বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান ইসলামকে মারপিট করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা চালকরা। এতে তিনি আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর রূপাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নগরীর রূপাতলী এলাকায় জড়ো হয়। এসময় মাহিন্দ্রা চালক ফিরোজ ও সিএনজিচালক আব্দুল জলিলকে আটক করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে সেনাবাহিনী এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকজন চালকের নাম পেয়েছেন তারা হলেন- হোসেন, ফিরোজ, শহিদুল, শাকিল, সাইদুল, মনির, হারুন, সোহাগ, হাসান, সাইদ।
আহত শিক্ষার্থী রায়হান জানান, মোটর সাইকেলে তিনি রূপাতলী এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় এক অটোরিকশা চালক তার মোটর সাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনার সময় রূপাতলীতেও শ্রমিকদের অন্য আরেক ঘটনায় মিছিল হচ্ছিল। ওই সিএনজি চালক শ্রমিকদের ডেকে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়ার পরও তারা তাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি রেখে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সুষ্ঠুু বিচার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি অটোরিকশাকে পুলিশ মামলা দিলে সিএনজি ও মাহিন্দ্রা চালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। এসময় শ্রমিকরা একটি মিছিল নিয়ে রূপাতলী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে ঘুরে যাবার সময় শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বার বার সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অবৈধ স্ট্যান্ড মুক্ত করা হলেও একটি চক্র পুনরায় তা দখল করে নিচ্ছে, এতে সাধারণ মানুুষের ভোগান্তি বাড়ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ববি শিক্ষার্থীকে মারার ঘটনায় দুজন চালককে আটক করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।