জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। হামলাকারীদের গ্রেফতারে এক ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তিনি।
এর আগে শনিবার বিকেলে ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে ডাকা জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে বক্তব্যের জেরে হামলার শিকার হন ফারুক।
এই হামলায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করে রাশেদ বলেন, ‘কপালে ছুরি দিয়ে জখম করা হয়েছে ফারুককে। তাকে সেখানে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। তার ওপর যারা হামলা করেছে তারা জঙ্গি, নব্য গজিয়ে ওঠা বিপ্লবী। এরা ইউনুস সরকারের উপকার করতে আসে নাই ক্ষতি করতে এসেছে।’
হামলাকারীদের এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘এদের গ্রেফতার করা না হলে গণঅধিকারের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’
ফারুক হাসনের অবস্থা গুরুতর জানিয়ে রাশেদ বলেন, ‘এই বিষয়ে এরই মধ্যে শাহবাগ থানায় জানানো হয়েছে এবং মামলা করা হবে।’
এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ মিনারের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে নাগরিক সমাবেশে আসেন ফারুক হাসান। একে একে শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের পর তিনি তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সরকারকে কোনোভাবেই মানা যায় না। যে সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে সেই সংবিধানকে কোনোভাবেই মানা যায় না।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আমরা কখনোই চাইনি; চেয়েছি বিপ্লবী সরকার। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হেডকোয়ার্টার বঙ্গভবন থেকে যেই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে তা মানেন না বলে জানান তিনি।
এরপর তাকে বাধা দেন সেখানে উপস্থিত জনতা। পরে তিনি সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে গেলে তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
এদিকে সমাবেশের আয়োজক জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মো. আরিফ দাবি করেছেন, কে বা কারা তার ওপর হামলা করেছে তা তাদের জানা নেই।