বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। সত্যের পথে চলতে হবে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য। তারা আজ পলাতক। তবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে। কেউ যেন জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পঞ্চগড়ের সাকোয়া হাইস্কুল মাঠে বোদা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না; সত্যের পথে চলতে হবে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য। তারা আজ পালিয়েছে। তবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের নতুন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। কেউ যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে। কেউ যেন আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভাঙতে না পারে
ভোটের কথা বলা হলে কেউ কেউ ভালোভাবে নেয় না। সংস্কারের কথা বলছে– তবে এ সংস্কারের কথা বিএনপি বহু আগেই বলে দিয়েছে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
দেশকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, পতিত স্বৈরাচার এখনও সক্রিয়; তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
১৫ বছরের বেশি সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জোর করে নির্যাতন করে ক্ষমতা দখল করে ছিল। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে সপরিবারে পালাতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন,
ফ্যাসিস্টদের পরিণতি এমনই হয়।
‘ধন্যবাদ ছাত্র-তরুণদের। যারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সুযোগ এনে দিয়েছে’, বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে ভারতে বসে, তারা একটা প্রচারণা চালাচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর নাকি বাংলাদেশে নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে- এসব বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে বিপদে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাই এসব মোকাবিলা করতে হবে।’
দলটির নেতারা বলেন,
সম্প্রীতি বিনষ্টের যে কোনো চক্রান্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
এ এক আরেক বাংলাদেশ। সব শ্রেণিপেশার মানুষ এক হন সম্প্রীতির বন্ধনে। মানবিক দেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি সবার স্লোগানে। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না পঞ্চগড়ের সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে। ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সভাস্থালে ছুটে আসেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যোগ দেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও। জনসভায় যোগ দিতেই বরণ করা হয় অনুষ্ঠানের মধ্যমনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। মঞ্চে উঠে সাধারণ মানুষের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।