
সময়ের জনপ্রিয় জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। একের পর এক নাটকে জুটি বেঁধে দর্শক মাতিয়েছেন তারা। গত বছরের এপ্রিল মাসে ইউটিউবে অবমুক্ত হয় তাদের ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’নাটকটি। এক বছরে সেটি দেখা হয়েছে রেকর্ডসংখ্যকবার। নাটকটির ভিউ এতই বেড়েছে, যা অতিক্রম করেছে জনপ্রিয় নাটক ‘বড় ছেলে’র ভিউ। তৃতীয় অবস্থানে আছে ‘ভুলো না আমায়’ নাটকটি।
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে—কী আছে এই নাটকে, কেনইবা নাটকটি দেখছে মানুষ? মূলত শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প। বিয়ের পর দূরে থাকলেও শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে জামাই।
নাটকে দেখা যায়, শ্বশুর কৃপণ। তিনি ঈদে ফিতরা-জাকাত ইত্যাদি দিতে চান না। সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হয় জামাই। নাটকে বার্তা দেওয়া হলেও সেটি হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ জন্যই নাটকটি দর্শক পছন্দ করেছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’নাটকটিতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, সাবেরি আলম প্রমুখ। নির্মাণ করেছেন নাট্য পরিচালক মহিন খান। বর্তমানে বাংলা নাটকের ভিউয়ে এটি এখন শীর্ষে রয়েছে।
এর আগে মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’আট বছর ধরে ইউটিউবে সর্বাধিক ভিউয়ের নাটক ছিল। নাটকটিতে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদের চরিত্রে অভিনয় করেন অপূর্ব। তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। এক সময় বাবার অবসর নেওয়ার সময়ও আসে চলে। এরপর পরিবারের আয়ের উৎস হিসেবে হাল ধরতে হয় বড় ছেলেকেই।
বড়লোকের মেয়ে রিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন মেহজাবীন। একপর্যায়ে সে তার বাবা-মায়ের কাছে বিয়ে না করা নিয়ে কোনো অজুহাতই দেখাতে পারে না। এদিকে রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও চাকরি পায় না। বাস্তবতার কাছে পরাজিত হয়ে বাধ্য হয়ে তারা একটি সিদ্ধান্তে আসে। এমন কাহিনি নিয়েই ভিউয়ের দিক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নাটকটি।

তৃতীয় স্থানে আছে জাকারিয়া সৌখিন নির্মিত নাটক ‘ভুলো না আমায়’। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে প্রেমের গল্প নিয়ে পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন নির্মাণ করেছেন ‘ভুলো না আমায়’। নাটকটি রচনা করেছেন সোহেল রানা শ্রাবণ ও জাকারিয়া সৌখিন। নাটকটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছে মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল । ভিউয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে নাটকটি।