
নিখোঁজের পাঁচদিন পর খোঁজ মিলেছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হাসান নগরের প্রিন্টিং কারখানার মালিক নূর আলমের লাশের। পাওনা টাকার জের ও জুয়া খেলায় বাধা দেয়ায় কারখানার দুই শ্রমিক ও তাদের সঙ্গীরা মিলে আলমকে হত্যা করার পর লাশ কারখানার মেঝেতে পুঁতে রেখেছিল। সিআইডির ক্রাইম সিন এসে মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার করে লাশ।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসান নগরের একটি প্রিন্টিং প্রেসের মালিক ছিলেন চার সন্তানের জনক গফরগাঁওয়ের নূর আলম। প্রতি সপ্তাহে সন্তানদের দেখতে যাওয়া মানুষটি গত একমাস যাবত কারখানার কাজের জন্য যেতে পারেননি গ্রামের বাড়ি। কথা ছিল, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) যাবেন গ্রামের বাড়ি। সন্তানদের জন্য শীতের কাপড় ও অন্যান্য জিনিস কিনে প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন যাওয়ার।
কিন্তু শুক্রবার আর তার যাওয়া হয়নি বাড়িতে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় আর কোন উপায় না দেখে শনিবার ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসে কারখানায় গিয়ে শ্বশুরের খোঁজ করেন তার মেজো মেয়ের জামাই। কারখানার দুই শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হওয়ায় যান কামরাঙ্গীরচর থানায়।
এরইমধ্যে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে কিছু সূত্র মেলে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের। এরপর মঙ্গলবার ভোর থেকেই কারখানার চারপাশে অবস্থান নেয় পুলিশ। মিরাজ নামে এক শ্রমিককে আটক করে, করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
এতেই বের হয়ে আসে রোমহর্ষক ঘটনা। জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই শ্রমিক ও তাদের দুই সঙ্গী মিলে হত্যা করেন মালিক নূর আলমকে। পুঁতে রাখেন কারখানার মেঝের নিচে।
কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, সাপ্তাহিক বেতন নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল মালিকের। এছাড়া জুয়া খেলায় বাধা দেয়ার জেরে হত্যা করা হয়েছে নূর আলমকে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে পুলিশ বলছে, মিরাজকে রিমান্ডে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবেন তারা।