ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আপস করতেও রাজি আছেন বলে জানান পুতিন। বৃহস্পতিবার ( ১৯ ডিসেম্বর) বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় টিভিতে রাশিয়ার জনগণের সঙ্গে বার্ষিক প্রশ্নোত্তর সেশনের সময় মার্কিন সংবাদ চ্যানেলের একজন প্রতিবেদককে পুতিন জানিয়েছেন যে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত। যার সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে কথা হয়নি বলে উল্লেখ করেন পুতিন।
এমনকি এ নিয়ে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রাশিয়া কোন শর্ত দেবে না।
তিনি ট্রাম্পকে কী প্রস্তাব দিতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার দুর্বল অবস্থানে থাকার দাবিও প্রত্যাখ্যান করেন পুতিন। বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে রাশিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
পুতিন বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি যে আমরা আলোচনা এবং সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে অন্য পক্ষও প্রস্তুত আছে কিনা, তাও দেখা দরকার।’
পুতিন আরও বলেন, ‘শিগগিরই এমনটা হবে যে, যুদ্ধ করতে চায় এমন ইউক্রেনীয়দের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমার মতে, এমন কেউ থাকবে না যে যুদ্ধ করতে চায়। আমরাও আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু অন্য পক্ষকেও আলোচনা এবং সমঝোতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এদিকে গত মাসে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চান। কিন্তু কোন বড় আঞ্চলিক ছাড় দেয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার ওপর জোর দেন।
পুতিন বৃহস্পতিবার বার্ষিক সম্মেলনে বলেন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে রাশিয়ার কোন শর্ত নেই এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ যে কারও সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি।
তবে যে কোনও চুক্তি কেবল ইউক্রেনের বৈধ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানান পুতিন।
গত ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, জয়ী হলে খুব দ্রুত ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করবেন।