ক্যারিবীয় পেসার শামার জোসেফ ঘরের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে বাজিমাত করলেন। কিন্তু দিনের পুরো আলোটা তার ওপর থাকলো না। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার উইয়ান মুল্ডার যে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং (৪/১৮) পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দিলেন!
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বোলারদের আগুন ঝরানো পিচে প্রথম দিনই পড়লো ১৭ উইকেট। দুই দলের অধিনায়কই আগে ব্যাটিং নেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন যে টেস্টে, সেখানে প্রথম দিনই ৬৮ রান খরচায় পেসারদের শিকার ১৫ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৭ উইকেটে ৯৭ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিক দল পিছিয়ে আছে ৬৩ রানে।
ঘরের মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই বাজিমাত শামার জোসেফের। ক্যারিবীয় এই পেসারের তোপে রীতিমত কাঁপলো দক্ষিণ আফ্রিকা। একশর আগে (৯৭ রানে) হারালো ৯ উইকেট।
তবে সেখান থেকে দশম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ড্যান পিট আর নান্দ্রে বার্গার। তাদের ব্যাটে চড়েই ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ উইকেট জুটিতে যোগ করে গুরুত্বপূর্ণ ৬৩ রান। ৫৪ ওভারে তারা অলআউট হয় ১৬০ রানে।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শামার জোসেফের পেসের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে সফরকারীরা। ২০ রানে তারা হারায় ৩ উইকেট।
এরপর একটু লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন ত্রিস্টান স্টাবস (২৬), ডেভিড বেডিংহাম (২৮) আর কাইল ভেরেন (২১)। তবে তারাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা।
শেষ পর্যন্ত দশম উইকেটে হাল ধরেন ড্যান পিট আর নান্দ্রে বার্গার। তাদের জুটিতেই বড় লজ্জা কাটায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশেষে এই জুটিটি ভাঙেন গুদাকেশ মোতি, বার্গারকে ২৩ রানে এলবিডব্লিউ করে। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যান পিট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ পেসার শামার জোসেফ ৩৩ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট আরেক পেসার জেডেন সিলসের।
জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজও। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে চারজনই আউট হন পাঁচ রানের কম করে। তিন নম্বরে কিয়েসি কার্টি করেন ২৬ রান। এরপর একাই লড়ে যাচ্ছেন জেসন হোল্ডার। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার অপরাজিত আছেন ৩৩ রানে।