ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ অক্টোবর দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ঝড়। এ বছর ফিলিপাইনে আঘাত করা ঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাণঘাতী ছিল ট্রামি।
এতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে ব্যাটাংগাস প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ৫৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ঝড়ের পর থেকে ৩৬ জন এখনো নিখোঁজ। তাদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এছাড়া, মধ্য ফিলিপাইনের বিকল অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এদের বেশিরভাগই মারা গেছেন পানিতে ডুবে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখনো অনেক বাসিন্দাকে উদ্ধার করতে পারছেন না, যারা বাড়ির ছাদ বা ওপরের তলাগুলোতে আটকে রয়েছেন।
ঘূণিঝড় ট্রামির প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় বেশ কিছু এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ।
আবহাওয়ার ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ায় আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন উদ্ধারকারীরা।
তবে সিভিল ডিফেন্স অফিসের কর্মকতা এডগার পোসাদাস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ উদ্ধারকারীরা তখন বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলোতে পৌঁছাতে পারবেন।
ফিলিপাইনে প্রতি বছর প্রায় ২০টি বড় ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে, যা দেশটির সামাজিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ঝড়গুলো উপকূলের কাছাকাছি গঠিত হচ্ছে এবং আগের চেয়ে দ্রুততর হয়ে উঠছে। এটি এই অঞ্চলের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়।