গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার পদত্যাগপত্র নিয়ে মন্তব্য করায় রাজনৈতিকভাবে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার পদগত্যাগ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েতের ডাক দেয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) গণজমায়েত থেকে রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া আরও ৪ দফা দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এসব দাবির মধ্যে রয়েছে: সংবিধান বাতিল, চলতি সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, বিগত ৩ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়া অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ সপ্তাহের মধ্যেই নতুন করে প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। এই প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিকের ভিত্তিতে ও বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মোটোর ভিত্তিতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ পরিচালনারও দাবি জানান সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এরআগে, গণজমায়েতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘কী খেয়ে, কার কথা শুনে, মানসিক অবস্থার কোন পর্যায়ে গিয়ে, এখন মুখ দিয়ে কার চক্রান্ত উচ্চারণ করছেন যে, আপনার কাছে পদত্যাগপত্র নাই। আমরা ফ্যাসিস্ট চুপ্পুসহ সব ফ্যাসিস্ট দোসরদের একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা যদি বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের কোনো উৎপাত লক্ষ্য করি, ছাত্র-জনতা ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে।’
এ সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদেরও দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়, আমরা চোখ দিতে প্রস্তুত, পা হারাতে ও রক্ত দিতেও প্রস্তুত। জীবন দিয়ে হলেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামধারী ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করতে আমরা আমৃত্যু লড়াই করবো।’
এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিপ্লব চলবে।’