আগামী ২ নভেম্বর ঢাকা থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস। প্রাথমিকভাবে এই পথে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বিক্রয় প্রতিনিধি রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে ২ নভেম্বর এই পথে সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে এই ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বর্তমানে ঢাকা থেকে অফলাইনে তিনটি সাপ্তাহিক নন-শিডিউল কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এয়ারলাইনসটির গ্রুপ সিইও মেসফিন তাসেউ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঢাকা থেকে আদ্দিস আবাবা হয়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সব বড় শহরে যেতে পারবেন। তিনি বলেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বাংলাদেশ থেকে যাত্রী নিয়ে ইথিওপিয়ায় ট্রানজিট দিয়ে আফ্রিকার কায়রো (মিসর), হারারে ও বুলাওয়ে (জিম্বাবুয়ে), দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ ও কেপটাউন, কেনিয়ার নাইরোবি, ইতালির মিলান ও রোম, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও ম্যানচেস্টার, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ও জেনেভা, সুইডেনের স্টকহোম, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, গ্রিসের এথেন্স, রাশিয়ার মস্কো, ফ্রান্সের প্যারিস ও জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে নিয়ে যাবে।
এয়ারলাইনসটি ২০২২ সালে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিল। বেবিচক তাদের নিজ দেশের কূটনীতিকদের মাধ্যমে (ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল) যোগাযোগ করে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আবেদনের অনুরোধ করে। পরবর্তীকালে নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে তারা ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন করে। আবেদনে তারা জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকান দেশগুলোয় প্রচুর বাংলাদেশি আছে। তারা যেসব বাংলাদেশি যাত্রীকে ইথিওপিয়ায় ট্রানজিট দিয়ে অল্প সময়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দিতে চায়।
এছাড়া কানাডার টরন্টো, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও শিকাগো, চীনের গুয়াঞ্জু, বাহরাইন, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, জাপানের টোকিও ও হংকংয়েও ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস।