মেক্সিকোতে ভূমিধসের ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিধস আঘাত হানার পর ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিধসে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর মাটি চাপা পড়ায় বেশ কিছু পরিবার আটকা পড়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সময় শনিবার রাজধানীর কাছেই অবস্থিত সান লুইস আয়ুচান গ্রামে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভূমিধসের পর ঘটনাস্থলে স্নাইফার কুকুর নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় উদ্ধারকর্মীরা। তারা সেখান থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
দুর্যোগের কারণে প্রায় ১৫০ জন মানুষ ওই গ্রাম থেকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তারা এখন আশ্রয়স্থলে অবস্থান করছেন। মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বর্ষার মৌসুমে মেক্সিকোতে প্রায় ঝড় ও ভূমিধসের খবর পাওয়া যায়।
এদিকে মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ৭৭ জন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মাত্র একদিন আগেই মৃতের সংখ্যা ১১৩ বলে জানানো হয়। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টর (৬ লাখ ৪০ হাজার একর) জমির ধান এবং অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে। বন্যার কারণে ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে।
চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল ইয়াগি। এ মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম, লাওস, চীন এবং ফিলিপাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই সুপার টাইফুন।