
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাফা সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরে। তাদের মধ্যে অনেকে যুদ্ধাহত আবার অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেশটির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে।
বাংলাদেশের মানবিক সংস্থা আলহাজ শামসুল হক আশ ফাউন্ডেশন প্রথম থেকেই যুদ্ধাহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবায় আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে গত দেড় বছর ধরে। তবে তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত।

মিশরে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের চিকিৎসা সেবা আরও বেগবান করতে রোববার (১৫ জুন) দেশটির রাজধানী কায়রোস্থ নাসের সিটির এল জুদি মেডিকেল সেন্টারের সঙ্গে আলহাজ শামসুল হক (আশ) ফাউন্ডেশন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় কিছু মেডিকেল ইকুইপমেন্ট হস্তান্তর করে।
রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালটির কনফারেন্স রুমে এল জুদি মেডিকেলের প্রধান নির্বাহী ডা. সাইদ মাহমুদ ও আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ফাউন্ডেশনের স্থানীয় দায়িত্বশীল ও হাসপাতালটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির আওতায় আশ ফাউন্ডেশন এল জুদি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আশা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য অর্থায়ন করবে। অন্যদিকে আশ ফাউন্ডেশনের রেফারেন্সে আসা গাজার নির্যাতিতদের বিনামূল্যে ও ক্ষেত্র বিশেষে বিশেষ ছাড়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, নরমাল ডেলিভারি, সিজার অপারেশন ও মাইনর অপারেশন করবে এল জুদি মেডিকেল সেন্টার।

গতকাল চুক্তি স্বাক্ষরের পর আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে এল জুদি মেডিকেল সেন্টারকে অত্যাধুনিক রিমোট কন্ট্রোল অপারেটেড দুটি বেড ও তাদের চাহিদা অনুযায়ী অপারেশন থিয়েটারের জন্য একটা আধুনিক মেশিন হস্তান্তর করেছি। তবে, আরও বিস্তৃত সেবার প্রয়োজনে আমরা ধারাবাহিকভাবে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখব।
নাছির উদ্দিন আরও জানান, বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ গাজার নির্যাতিত মুহাজির রাফা সীমান্ত দিয়ে এসে মিশরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে বহু রোগী রয়েছে যারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।
গাজা থেকে আসা উদ্বাস্তু রোগীদের সেবায় আশ ফাউন্ড আগামীতে আরও বহু সংখ্যক নির্যাতিত গাজাবাসীকে সেবা দেবে।