
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাচ্ছেন এমন খবরে দেশ এবং দেশের বাইরে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সবার মধ্যেই এ নিয়ে এক ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়। বিভিন্ন দেশের বার্তা সংস্থা এবং প্রধান গণমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসে ‘নির্বাচনী চাপের মুখে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশের নেতা’- এই শিরোনামে খবর প্রচার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ ইউনূস বাধাহীনভাবে কাজ করার জন্য রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন না পেলে পদত্যাগের হুমকি দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস তার পদত্যাগ ঘোষণার ভাষণের খসড়া তৈরির পর্যায়ে গিয়েছিলেন বলে তাঁর সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অন্যান্য উপদেষ্টা তাকে বোঝান যে তাঁর পদত্যাগে বাংলাদেশ আরও অস্থিতিশীল হবে। ওই কর্মকর্তা ফোনে বলেন যে এ বছর নির্বাচন হওয়া উচিত বলে সেনাপ্রধান সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে অখুশি হয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলোর সমালোচনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বোধ করছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত?
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিয়ে ঐক্যমত্য না পেলে পদত্যাগ করতে পারেন অধ্যাপক ইউনূস।
এদিকে শনিবার (২৪ মে) উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।