আজ ৫ সেপ্টেম্বর। ২০১৭ সালের এই দিনে ইউটিউবে মুক্তি পায় ‘বড় ছেলে’ টেলিছবিটি। সাত বছর হয়ে গেল তুমুল আলোচিত এই টেলিছবির বয়স। মুক্তির পরপরই টেলিছবিটি শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের দর্শকের কাছে পৌঁছে যায়। এতে অভিনয় করে অপূর্ব-মেহজাবীন জুটি দর্শকের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এত দিন পর এসেও টেলিছবিটি থেকে দর্শকের সেই একই রকম ভালোবাসা পাচ্ছেন অপূর্ব-মেহজাবীন।
টেলিছবিটি প্রচারের দিনটিকে স্মরণ করে মেহজাবীন চৌধুরী তাঁর ফেসবুক পেজে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বড় ছেলের সাত বছর হয়ে গেল। আমি এখনো একই পরিমাণ ভালোবাসা পেয়ে যাচ্ছি। এই ড্রামা আমার ক্যারিয়ারের গ্রাফ বদলে দিয়েছে। আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। সারা জীবনের এই সুন্দর উপহারের জন্য মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’
মেহজাবীনের বক্তব্য, ‘এই টেলিছবির বয়স সাত বছর হলো। এরপর তো আরও অনেক কাজ করেছি। নানা বৈচিত্র্যময় গল্প, চরিত্রে কাজ করেছি। কিন্তু এখনো গ্রামে বা অন্য কোথাও গেলে দর্শকেরা কথা বলতে এসে প্রথমেই বড় ছেলের কথা বলেন। তাঁরা বলেন, এখনো বড় ছেলে দেখতে বসে নাকি তাঁদের চোখে পানি আসে। আমার কাছে মনে হয় এই টেলিছবিটি একটি উদাহরণ তৈরি করেছে।’
সেই সময় প্রকাশের অল্প দিনের মধ্যে দর্শক ভিউতে ইউটিউবে নতুন রেকর্ডও তৈরি করেছিল বড় ছেলে। টেলিছবি প্রচারের পর মেহজাবীনকে নতুনভাবে চিনেছেন দর্শক।
এ ব্যাপারে মেহজাবীন বলেন, ‘আমি আগে অনেক কাজই করেছিলাম। কিন্তু বড় ছেলে প্রচারের পর আমাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান দর্শকেরা। আমার অভিনয়জীবনের গতিপথই পরিবর্তন করে দেয় এটি
শুধু আমার নয়, অপূর্ব ভাই, পরিচালক আরিয়ান ভাইয়ের জীবনেও কাজের নতুন কিছু অর্জন ছিল এই টেলিছবিটি। যেটি আজীবন থেকে যাবে। বলতে পারেন, আমাদের তিনজনের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে বড় ছেলে।’
মেহজাবীন আরও বলেন, ‘এই টেলিছবিটি দিয়েই সেই সময় আমি মর্যাদাপূর্ণ মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার পাওয়া শুরু করি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা পেয়ে আসছি। তাহলে বুঝতে হবে এই টেলিছবিটি কত বড় ভাগ্যের একটি কাজ ছিল আমার জন্য।’
এরপর অপূর্ব ও মেহজাবীন জুটি বেঁধে ‘ব্যাচ নম্বর ২৭ পার্ট টু’, ‘ছায়াছবি’, যদি তুমি বলো’, ‘অবশেষে অন্য কিছু’, ‘প্রাণ প্রিয়’সহ অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু পরের কোনো কাজই বড় ছেলের জায়গা নিতে পারেনি দর্শকের কাছে।
মেহজাবীন বলেন, ‘বড় ছেলে যখন করি, তখন বুঝিনি এত ভালোবাসা পাব। প্রচারের পর সেটি বুঝতে পারি। এরপর আরও প্রাণ দিয়ে, আরও আন্তরিকতা দিয়ে অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। কিন্তু দর্শকেরা এখনো বড় ছেলেকেই এগিয়ে রেখেছেন। সেই সময় এটি দেখে দর্শকের মনে যে আবেগ, ভালোবাসা তৈরি করেছিল, তা আজও গেঁথে আছে। ফলে আমরা অন্য কাজ দিয়ে নিজেরাই বড় ছেলেকে বিট করতে পারিনি।’