কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটক সজীব হোসেনের (২৬) মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মরদেহ সৈকতের নাজিরারটেক উপকূলে ভেসে ওঠে। এরপর পুলিশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। গতকাল বুধবার দুপুরে সজীব সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন। সুগন্ধা থেকে নাজিরারটেক সৈকতের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। নিহত সজীব ঢাকার পল্লবী থানার ১১-ডি সড়কের কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন সজীব। দুপুরে সজীবসহ পাঁচজন সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসলে নামেন। গোসলের এক ফাঁকে উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় সবাই ভেসে যেতে থাকেন। এ সময় লাইফগার্ড সদস্যরা সাগরে তল্লাশি চালিয়ে চারজনকে উদ্ধার করলেও সজীব নিখোঁজ হন। কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও লাইফগার্ডের সদস্যরা সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালিয়েও সজীবের সন্ধান পাননি। আজ সকালে নাজিরারটেক সৈকতে সজীবের মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন মরদেহ ভেসে ওঠার খবর দিলে লাইফগার্ড-বিচ কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করেন।
লাইফগার্ড কর্মীরা জানান, বুধবার দুপুরে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার সময় যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁদের একজন নেছার আহমদের (২৫) অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তির পর এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।
লাইফগার্ড কর্মী সিফাত সাইফুল্লাহ বলেন, বৈরী পরিবেশে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নামতে নিষেধ করে সৈকতে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হলেও পর্যটকের সেদিকে খেয়াল থাকে না। এক মাস ধরে সৈকতে তেমন পর্যটক নেই। গতকাল সারা দিনে কলাতলী থেকে লাবণী পর্যন্ত সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারে পাঁচ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল।