আরব সাগরের উত্তর–পূর্ব অংশে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ এখন পাকিস্তানের করাচি থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। তবে আসনার প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে এরই মধ্যে দেশটিতে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে। তবে এখনো করাচির ভূখণ্ডে আঘাত হানেনি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পিএমডি সতর্ক করে বলেছে, আজ শনিবার সারাদিন সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ঝড়ো বাতাস ও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর পাকিস্তানের আপার দির জেলায় অবিরাম বর্ষণে ভূমিধসের কারণে বাড়ির ছাদ ধসে একই পরিবারের ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার (৩১ আগস্ট) ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সিন্ধুর জামশোরো, দাদু ও মিরপুরখাস জেলায় ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। টোবা টেক সিংয়ের একটি গ্রামে এক ব্যক্তি ও তার বোন মারা গেছেন। এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ ধসে নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় আসনা। এজন্য উপকূলীয় এলাকা কর্ণাটকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
সর্বশেষ পূর্বাভাসে আইএমডি বলেছে, এই মুহূর্তে গুজরাটের নালিয়া শহরের পশ্চিম উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। আসনার প্রভাবে গুজরাটের জামনগর, সুরাট, পোরবন্দর, মোরবি, স্বর্কা এবং কুচ জেলায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এসব জেলার অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৮৯১-২০২৩ সালের মধ্যে আরব সাগরে মোট তিনটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। তবে আগস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় একটি বিরল ঘটনা।