
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। লাঠিপেটা ও জলকামান থেকে পানি ছিটানোসহ টিয়াশেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। তবে সড়ক অবরোধমুক্ত হলেও বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ এলাকা ছাড়েননি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে শাহবাগ মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের বাঁ পাশের সড়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা এবং ডান পাশের সড়কে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা অবস্থান নেন। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে রাখা জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সেখানে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কে আবারও অবস্থান নেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কটি ছাড়া শাহবাগের মোড়ের অন্য সড়কগুলো যানজটমুক্ত হয়।
তৃতীয় ধাপে মনোনীত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, তাদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেয়া হয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক। এই সরকারই তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে আবার সেটা বাতিল করেছে। এটি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই রায় বাতিল করে নিয়োগ চূড়ান্ত করার দাবি জানান তারা।
অন্যদিকে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলছেন, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২-১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।