যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) দিকে রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দিকে আসার সময় হেলিকপ্টারের সাথে যাত্রীবাহী বিমানটির সংঘর্ষ হয়। এতে বিমানটি পাশেই পোটোম্যাক নদীতে গিয়ে পড়ে। বিমানটিতে চার ক্রুসহ মোট ৬৪ জন আরোহী ছিল। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এএফএ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ‘জরুরি অবস্থার’ কারণে রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্কে কোনো বিমান ওঠানামা করছে না।
রিগ্যান বিমানবন্দর এলাকার প্রায় প্রতিটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। পোটোম্যাক নদীতে জীবিতদের সন্ধানে কাজ করছে তারা।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী বিমানের সাথে সংঘর্ষ হওয়া হেলিকপ্টারটি মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারটি সিকোরস্কি ইউএইচ-৬০ মডেলের।
একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটিতে তিনজন ক্রু ছিলেন এবং এতে কোনো ভিআইপি ছিলেন না। ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় ভ্রমণের জন্য ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা প্রায়ই ব্ল্যাক হক ব্যবহার করেন।
আর বিধ্বস্ত বিমানটি আমেরিকান পিএসএ এয়ারলাইন্সের। বোমবার্ডিয়ান সিআরজে৭০০ মডেলের বিমানটি বুধবার সকালে কানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর এরই মধ্যে একটি তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে মিলে এই তদন্ত পরিচালনা করছে দ্য ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, রিগ্যান ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের বিষয়ে তাকে ‘সম্পূর্ণ অবহিত’ করা হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।