জয়া আহসান অভিনীত ‘বাগান বিলাস’ মুক্তি পেয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে এর প্রচারণায় সরব দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। গতকাল মুক্তি পেয়েছে এটি। ‘বাগান বিলাস’ মূলত ৫ মিনিট ৫৩ সেকেণ্ডের একটি মিউজিক্যাল জার্নি। এখানে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এলিটা করিম ও প্রীতম হাসান। ভিডিওতেও দেখা গেছে তাদের।
নিজের জন্মদিন উপলক্ষে নিজেরই নামের ইউটিউব চ্যানেলে ‘বাগান বিলাস’ মুক্তি দিয়েছেন প্রীতম। সেটি ১৬ ঘণ্টায় দেখেছেন প্রায় ৫৭ হাজার দর্শক। গানচিত্রটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন সাদিয়া ইসলাম রোজা। এ গানের কথা লিখেছেন ইনামুল তাহসিন।
ভিন্ন আঙ্গিকের কাজটি নিয়ে জয়া বেশ তৃপ্ত। সেটা তার প্রচারণায় মুখরিত হওয়া দেখেই অনুমান করা যায়। তার ভক্তরাও ‘বাগান বিলাস’ পছন্দ করছেন। ইউটিউবের কমেন্ট বক্সে চোখ রাখলেই সেটা বোঝা যায়।
এই গানের গল্পটি মূলত একজন মানসিক রোগী প্রীতমের মনস্তাত্ত্বিক যাত্রা নিয়ে। যার চারদিকে আছে নিঃসঙ্গতা। তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত ও হৃদয়বিদারক ঘটনাকে ঘিরে, যেটি তাকে শেষ পর্যন্ত মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার জীবনের সবচেয়ে বড় শোক হলো এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার ভালোবাসার মানুষটি হারিয়ে গেছে। এই কাহিনীর মধ্য দিয়ে প্রীতমের ভেতরের এক সংগ্রাম এবং তার মানসিক অবস্থা উঠে এসেছে। তিনি তার হারানো ভালোবাসাকে পুনরায় ফিরে পেতে চান। তার জন্য গান লেখেন, সুর তুলেন। তবে বাস্তবতা ও তার মানসিক অবস্থা তাকে বাধা দেয়।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে প্রীতম একটি বাসায় ওঠেন। সেটি ‘বাগান বিলাস’। এখানেই তার পরিচিতি হয় জয়া আহসানের সাথে, যিনি তার প্রতিবেশী। জয়া এক ধরনের অস্থিরতায় আক্রান্ত। সবকিছু অতিরিক্ত পরিষ্কার রাখার প্রবণতা রয়েছে তার। একদিন যখন জয়া তার বাড়ির সামনে পরিষ্কার করতে যান তখন প্রীতমের ঘরের ভেতর চলে যান। সেখানে প্রীতমের সমস্ত পুরনো গান এবং স্মৃতির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান জয়া। তার সব পরিস্কারের অসুখটা তাকে সবকিছু পরিষ্কার করতে বাধ্য করে।
প্রীতম বুঝতে পারেন তার ঘরে কেউ ঢুকেছে। তার ধারণা হয় যে তা তার প্রতিবেশী জয়া আহসানই এসেছিলেন। তাই সে পরদিন তার বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যাবার সময় তার মিউজিক প্লেয়ারটি জয়ার কাছে রেখে চলে যান। কারণ সেটি তার মানসিক অবস্থা এবং শিহরণ থেকে বের হয়ে আসার উপায়। এটি তার অতীতকে ত্যাগ করার প্রতীক ছিল। এরপর একটি সংবাদপত্র আসে, যা নতুন এক অধ্যায়ের সূচনার কথা বলে। প্রীতম হয়তো নতুন একটা জীবনের সন্ধান করবেন।
আভাস রয়েছে, এই গানের গল্পটি আবারও ফিরে আসতে পারে কোনো সিক্যুয়েলে।