ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা একাডেমিতে গতকাল রাতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা। নিকোলাস পুরানের ২৬ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ১৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টিতে ব্রায়ান লারা একাডেমিতে এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি শুরু হতে প্রায় ঘণ্টাখানেক দেরি হয়েছে। টস জিতে বোলিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও ছিল দারুণ। ৮ ওভারে ৪২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রায়ান রিকেলটন ও অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে তুলে নেন পেসার ম্যাথু ফোর্ড।
ষষ্ঠ উইকেটে প্যাট্রিক ক্রুগারের সঙ্গে ট্রিস্টান স্টাবসের ৫০ বলে ৭১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারী দল। প্রোটিয়াদের ইনিংস টেনেছেন মূলত স্টাবস। ৩২ বলে ৪৪ রান করা ক্রুগার ১৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার পর সপ্তম উইকেটে বিওর্ন ফর্চুইনকে নিয়ে ২৫ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন স্টাবস। ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৪২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন ফোর্ড।
রান তাড়া করতে নেমে কখনোই পথ হারায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৮ ওভারে ৮৪ রান তুলে আউট হন অ্যালিক আথানেজ। ৩০ বলে ৪০ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে হোপ ও পুরানের ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটিতে প্রোটিয়ারা ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার অনভিজ্ঞ বোলারদের পাত্তাই দেননি পুরান। ২০ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। ৭ ছক্কা ও ২ চারে ইনিংসটি সাজান এই বাঁহাতি। এর মধ্যে নান্দ্রে বার্গারের করা ১২তম ওভারে পুরান একাই মেরেছেন চার ছক্কা!
চোটের কারণে লুঙ্গি এনগিডি সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ায় এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে ১৮ বছর ১৩৭ দিন বয়সী পেসার কিউনা মাফাকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাফাকাই এখন দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। ১৯৯৯ সালে ১৮ বছর ৩১৪ দিন বয়সে অভিষিক্ত ভিক্টর মাপিটস্যাংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন মাফাকা।
ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মার্করাম মাফাকাকে নিয়ে বলেন, ‘তার বেশ কিছু এক্স ফ্যাক্টর আছে এবং বয়সও অনেক কম। মাঠের বাইরে তার সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যায়, ভালো করার খিদেটা আছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সে ম্যাচ জিততে চায়।’
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৭৪/৭ (স্টাবস ৭৬, ক্রুগার ৪৪, মার্করাম ১৪, ফর্চুইন ১১*; ফোর্ড ৩/২৭, জোসেফ ২/৪০, আকিল ১/২২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭.৫ ওভারে ১৭৬/৩ (পুরান ৬৫*, হোপ ৫১, আথানেজ ৪০: বার্টম্যান ২/৩০, মাফাকা ১/২৫)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।