কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) টার্মিনাল-১ এ নামার পর ইমিগ্রেশন পরিদর্শন এড়াতে এবং ‘কাউন্টার সেটিং’ সিন্ডিকেট সদস্যদের সংকেতের জন্য অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিসহ একদল বিদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।
পরে, ইমিগ্রেশন বিভাগের তদন্ত শেষে আটককৃতদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের নাম ও সংখ্যা প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান কেএলআইএ টার্মিনাল-১ এর অপারেশন কন্ট্রোলের ডেপুটি চিফ সুরেশ নাদারজাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই দলটি বিমান থেকে নেমে সরাসরি ইমিগ্রেশন কাউন্টারে না গিয়ে ইমিগ্রেশন পরিদর্শন এড়াতে এবং ‘কাউন্টার সেটিং’ সিন্ডিকেট সদস্যদের সংকেতের জন্য অপেক্ষা করতে যায়। সেখানে ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা ফাস্ট ফুড দোকানে এবং যাত্রীদের বসার স্থানে সময় পার করছিলেন। কেউ কেউ আবার দোকান থেকে পানীয় কিনে দুই দিন ধরে অবস্থান করছিলেন।
পরে, ইমিগ্রেশন বিভাগের তদন্ত শেষে আটককৃতদের তাদের স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
সম্প্রতি দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন বিভাগ দ্বারা গঠিত একটি নিরীক্ষণ দল বিশেষ করে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এজেন্সির তদন্ত কাউন্টারে যাওয়ার আগে দীর্ঘ সময় নেয়া ভ্রমণকারীদের শনাক্ত করতে বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে আসা সন্দেহভাজন বিদেশিদের সাবধানে পরীক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে দেখা গেছে কিছু বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে আসার পরেও ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যায়নি, আসলে ‘কাউন্টার সেটিং’ সিন্ডিকেটের সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং যদি তাদের প্রবেশ সন্দেহজনক বলে মনে করা হয়, তাদেরকে সরাসরি ইমিগ্রেশন থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘কাউন্টার সেটিং’ বা ‘বিশেষ কাউন্টার লেন’ এর পদ্ধতি ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে ইমিগ্রেশন বিভাগের ৫০ জন প্রয়োগকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া এসপিআরএম এই ‘কাউন্টার সেটিং’ এ যুক্ত থাকায় সিন্ডিকেটের আরও ১০ জন এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়।