টি-টোয়েন্টির ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের তুলনায় শুধু ভালো নয়, অতি ভালো দল। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ আইসিসির র্যাঙ্কিং। টিম র্যাঙ্কিংয়ে ৪ নম্বরে ক্যারিবীয়ানরা, বাংলাদেশ ৯-এ। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো না মেনে উপায় কী! সৌম্য সরকার বিষয়টা স্বীকার করলেও এগুলো না ভেবে মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।
সেন্ট কিটসে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ দল এখন সেন্ট ভিনসেন্টে। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজকে সামনে রেখে আরনস ভেল গ্রাউন্ডে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। তার ফাঁকে নিজেদের ভাবনা, সম্ভাবনা ও দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেছেন সৌম্য।
বিসিবির ফেসবুক পেজে আপলোড করা ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘পরশু (১৬ ডিসেম্বর, ভোর ৬টা) থেকে আমাদের টি-২০ সিরিজ শুরু হচ্ছে। কারা ছোট টিম কারা বড় টিম, সেটার থেকেও বড় কথা হচ্ছে মাঠে কারা ২০টা ওভার ভালো খেলবে। সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা যদি তিনটা সাইডে (ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং) ভালো করতে পারি, তাহলে আরামসে তাদের বিট করতে পারব। তারা টি-টোয়েন্টিতে ভালো টিম, কিন্তু আমরা বেস্টটা দিতে পারলে ম্যাচ জিততে পারব।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারলেও আগের ম্যাচ দিয়ে রানে ফিরেছেন সৌম্য। তৃতীয় ম্যাচে ৭৩ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। টি-২০ ফরম্যাটেও আগের ম্যাচে বড় রান করেছিলেন তিনি। গ্লোবাল সুপার লিগে তার ৫৪ বলে অপরাজিত ৮৬ রানে ভর করেই ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতে রংপুর রাইডার্স। সৌম্য বলেন, ‘গ্লোবাল টি-২০ লিগে কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল। ভালো টুর্নামেন্ট গেছে।’
সৌম্যর ৭৩ রান করার ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল ৩২১ রান। রান তাড়ায় ২৫ বল হাতে রেখে জয় পায় স্বাগতিক দল, যা ওয়ানডে ইতিহাসে তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ওই ম্যাচে বোলারদের কাছ থেকে আরও ভালো কিছু আশা করেছিলেন সৌম্য। তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত কয়েকটি সিরিজে ভালো করিনি। কিন্তু ভালো দিক হচ্ছে তিনশর বেশি রান করছি। আমাদের বোলাররা ভালো করছে, কিন্তু এই সিরিজটায় একটু স্ট্রাগল করেছে। আশা করি তারা টি-টোয়েন্টিতে কামব্যাক করবে।’