
আইপিএলে কোনো লক্ষ্যই যেন অসম্ভব নয়। ২৩৮ করেও তাই স্বস্তিতে বসে থাকার উপায় ছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে উত্তেজনা জিইয়ে ছিল। ৪৭২ রানের ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৪ রানে হারিয়েছে লখনৌ।
এতে ৫ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে রিশাভ পান্তের লখনৌ। সমান ম্যাচে ২ জয়ে ছয় নম্বরে আজিঙ্কা রাহানের কলকাতা।
লক্ষ্য ২৩৯। কলকাতা থেমেছে ৭ উইকেটে ২৩৪ রানে। শুরুর দিকে সুনিল নারিন, আজিঙ্কা রাহানেরা আর শেষদিকে চেষ্টা করেছেন রিঙ্কু সিং। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারেনি স্বাগতিকরা।
নারিন ১৩ বলে ৩০, রাহানে ৩৫ বলে ৬১, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২৯ বলে ৪৫, আর শেষদিকে ১৫ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। রবি বিষ্ণুইয়ের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল কলকাতার। হর্ষিত রানা একটি আর রিঙ্কু সিং দুই চার আর একটি ছক্কা হাঁকালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
এর আগে ইডেন গার্ডেনসে বড় স্কোরের ভিতটা গড়ে দিলেন দুই ওপেনার মিচেল মার্শ আর এইডেন মার্করাম। তার ওপর দাঁড়িয়ে তাণ্ডব চালালেন নিকোলাস পুরান। এই তিন ব্যাটারের ১৫ ছক্কায় ভর করে ৩ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার মার্শ আর মার্করাম ৬২ বলে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৭ করে আউট হন মার্করাম।
মার্শ করেন ৪৮ বলে ৮১। ঝোড়ো ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান এই অলরাউন্ডার। এরপর পুরান-শো। আর কয়েকটা বল পেলে হয়তো সেঞ্চুরিটাই করে ফেলতেন।
৩৬ বলেই ৮৭ রানের হার না মানা এক টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন পুরান। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে যে ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কার মার।
কলকাতার হর্ষিত রানা ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৫১ রান। আন্দ্রে রাসেল ২ ওভারে ৩২ দিয়ে নেন একটি উইকেট।