
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার কয়েকটি গ্রামে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। রোববার সকালে সদর, বেতাগী, আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলার কিছু গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এসব এলাকার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রোজা রাখা শুরু করেন এবং ঈদ উদযাপন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের আমতলারপার, সদর ইউনিয়নের; পাজরাভাঙ্গা, কালিরতবক, গৌরীচন্না ইউনিয়নের; ধুপতি, গৌরীচন্না, বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের; বকুলতলী, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের; গোজখালী, কুকুয়া ইউনিয়নের; কুকুয়া, পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের; সিংড়াবুনিয়া ও কাকচিড়া গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতর পালন করছে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
মূলত একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা সবাই মির্জাখীল দরবার শরিফ ও কাদেরিয়া দরবার শরিফসহ বিভিন্ন দরবারের অনুসারী।
সরজমিনে বেতাগী উপজেলার গলাচিপা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাদেরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা সকালে মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে সবাই শরবত পান করেন। এরপর তারা পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একে অপরের বাড়ি যান।
ঈদের নামাজে অংশ নেওয়া মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হাদিস অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালনের নির্দেশ রয়েছে। তাই সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় আমরা ঈদ উদযাপন করেছি। এটি আমাদের জন্য আনন্দের।
বায়জিদ মল্লিক নামের আরেক মুসল্লি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। প্রতি বছরই আমরা এভাবে ঈদ পালন করি।
মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদের ঈদের নামাজের ইমাম বলেন, সিলসিলিয়া আলিয়া কাদেরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা দুই থেকে তিনশ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করছেন। ইমাম আযম আবু হানিফা (রহ.) এর মতে, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলে সেই অনুযায়ী রোজা ও ঈদ পালন ফরজ।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার কিছু এলাকায় ঈদ উদযাপিত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।