বিপিএলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৫ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করে রংপুর। জবাব দিতে নেমে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয়েছিল সিলেটের। প্রথম ৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছিল দলটি। তবে পঞ্চম ওভারে নাহিদ রানা প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই ঝলক দেখান। ওভারের প্রথম বলেই জাকির হাসানের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন এই পেসার। ওভারের শেষ বলে ফেরান আইরিশ বিধ্বংসী ব্যাটার পল স্টার্লিংকে।
চতুর্থ উইকেট ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে বেশ সাবধানে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে জাকেরের ধীরগতির ইনিংসে চাপ বাড়তে থাকে রনি তালুকদারের ওপর। সেই চাপেই বড় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন রনি। দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। রনির বিদায়ের পরের বলেই স্ট্যাম্পিং হন অধিনায়ক আরিফুল।
চাপের মুহূর্তে ছক্কা মেরে দলকে ম্যাচে ফেরানোর খানিকটা আভাস দিয়েছিলেন জাকের আলী। তবে ওই এক ছক্কাতেই শেষ। নাহিদ রানার পরের বলেই সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৩৩ বলে ২৪ রান করেন এই ব্যাটার। জাকেরের বিদায়ের পর আর কেউ তেমন লড়াই করতে পারেননি। ১২১ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয় রংপুরের। রিস টপলি, তানজিম হাসান সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টপ অর্ডার ব্যাটারদের কেউই তেমন রানের দেখা পাননি। মিডল অর্ডারে নুরুল হাসান সোহান এবং ইফতিখার আহমেদ হাল ধরলে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দলটি।
রংপুরের দুই বিদেশি ওপেনার স্টিভেন টেইলর এবং অ্যালেক্স হেলস প্রথম ২ ওভারে ২১ রান নিয়ে দারুণ শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে মাত্র ১ রান দিয়ে তাদের চাপে ফেলেন রিস টপলি। চাপ কাটাতে চতুর্থ ওভারে বড় শট খেলতে যান হেলস। তবে তানজিম সাকিবের বলে বড় শট খেলতে ব্যর্থ হয়ে লং অফে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের ওভারে সাইফ হাসান আউট হয়েছেন বাউন্ডারিতে রনি তালুকদারের দুর্দান্ত এক ক্যাচের বদৌলতে। স্টিভেন টেইলরও আউট হন একই ওভারে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
২৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ এবং খুশদিল শাহ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি গড়েন। সেট হওয়ার পর বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুশদিল। তাতে রানের গতি আরও কমে।
খুশদিলের বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার। সোহান ২৪ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও ইফতিখারের ব্যাট চলেনি সেভাবে। শেষদিকে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী।