ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক সংসদ সদস্য বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই ও তার টিম। এমন খবর প্রকাশের পর সতর্ক করা হয়েছে বলিউড ভাইজান সালমান খানকে। শুধু তাই নয়, আজকে (১৩ অক্টোবর) সালমান সব মিটিং বাতিল করেছেন। মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বেশ কয়েকবার লরেন্স বিষ্ণোই ও তার টিম সালমানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
১২ অক্টোবর দুষ্কৃতকারীদের গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান বাবা সিদ্দিকি। পূজা উপলক্ষে সিদ্দিকি যখন আতশবাজি ফোটাচ্ছিলেন, সেই সময় তিনজন লোক পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পূর্ব বান্দ্রায় বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বাবা সিদ্দিকিকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক জানান, সিদ্দিকি প্রচুর রক্তপাত হয়েছে, ফলে তাকে বাঁচানো যানি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ পরে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরই মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্নাইল সিং এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করে। আরও জানা গেছে, দুজন তদন্তকারীদের বলেছে, তারা গত এক মাস ধরে সিদ্দিকির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে পলাতক ব্যক্তি মুম্বাইয়ের কুর্লাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এই তিনজন এর আগে পাঞ্জাবের একটি জেলে একসঙ্গে বন্দী ছিলেন, যেখানে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন সদস্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এর মাধ্যমেই তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় আজ লরেন্স বিষ্ণোই স্বীকার করেছে।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সালমান লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে যান। পাশাপাশি তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’র শুটিংও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবেন। শাহরুখ-সালমান এক সময়ে একে অন্যের ছায়াও মাড়াতেন না। তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল ২০০৮ সালে। এ নিয়ে নানান ধরনের কথাও শোনা গেছে সে সময়।
ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বাবা সিদ্দিকির ডাকেই তার ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন শাহরুখ ও সালমান। সেখানেই দুজনের অভিমানের সমাপ্তি ঘটে। সালমান-শাহরুখ কোলাকুলির মাধ্যমে আবারও বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফিরে আসেন। এরপরও একাধিকবার বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে গিয়েছেন দুই খান।