১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন জন নিহতের মামলার ১০ নম্বর আসামি সাদপন্থি আলেম শফিউল্লাহকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শফিউল্লাহ শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ডগরী তালুকদার বাড়ি গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানী ঢাকার মুগদা বড় মসজিদের খতিব ও সাদপন্থিদের নেতা। এর আগে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূর ও ৬ নম্বর আসামি জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শরীয়তপুর পালং থানার স্টেডিয়াম রোড এলাকা থেকে তাকে রাত সোয়া ৯টায় গ্রেফতার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি টিম শফিউল্লাহকে গ্রেফতার করে টঙ্গী নিয়ে আসছেন।
মামলার বাদি পক্ষ তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের (জুবায়েরপন্থি) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান যুগান্তরকে বলেন, শফিউল্লাহ আমাদের মামলার ১০ নম্বর আসামি। তাকে গ্রেফতার করে শরিয়তপুর থেকে টঙ্গী আনা হচ্ছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি শফিউল্লাহকে শরিয়তপুরে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে আমাদের টিম টঙ্গী নিয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে দুই গ্রæপের দ্বন্ধে তিন মুসল্লি নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হয়। এই ঘটনায় শুরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থি) পক্ষ থেকে সাদপন্থিদের ২৯জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলার শনাক্ত ১০ নম্বর আসামি শফিউল্লাহ।
এর আগে ৫ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূর ও ৬ নম্বর আসামি জিয়া বিন কাসিম গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এই নিয়ে এই মামলায় তিনজন গ্রেফতার হলেন।