
অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে কমিটি গঠনের বিরোধিতা, পদনাম পরিবর্তন, সচিবালয় রেশনভাতা চালু, নবম পে-কমিশন গঠন, মহার্ঘভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় সমবেত হয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১২ মে) সভা করে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিষদের নেতারা।
তারা প্রথমে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের পেছনের ক্যান্টিনে সভা করেন। সেখানে সচিবালয়ের মধ্যে মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তারা ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় গিয়ে কয়েক মিনিট মৌন প্রতিবাদ জানান।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে আজ মৌন সমাবেশ করলাম। দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার আমরা সভা করে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
দাবি-দাওয়াগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিদ্যমান সুযোগ হতে চিরতরে বঞ্চিত করার মানসে সুকৌশলে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের সাথে একীভূত করে অভিন্ন নিয়োগবিধিমালা প্রণয়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে একটি কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। সরকার এ কার্যক্রম থেকে বিরত না থাকলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারীদের জেলা পর্যায়ের আদালতে বদলি করা হয় না, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারীদের লোকাল ব্যাংকে বদলির বিধান নেই। তাই কারও প্রাপ্য মর্যাদা বিনষ্টের কার্যক্রম কারও জন্যই হিতকর হবে না।
ইতোপূর্বে পেশকৃত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো পূরণে কোনো কারণ ছাড়াই কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।
বাদিউল কবীর বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নবম পে-কমিশন ও মহার্ঘভাতা বিষয়ে অদ্যাবধি কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নির্দেশনা দেওয়ার পর প্রশাসন অধিশাখা ও সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
অবিলম্বে কর্মচারী নিপীড়নমূলক কালাকানুন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ ২০১৮ সালের কর্মচারী চাকরি বিধিমালার পরিবর্তে ১৯৭৯ সালের দমন পীড়নের বিধিমালা প্রবর্তিত হলে সরকারি কর্মচারী রাষ্ট্রের পরিবর্তে কর্মকর্তার সেবক হিসেবে পরিণত হবে।