নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশেও সংস্কার কমিটি করা হয়েছে। গত (২১ সেপ্টেম্বর) শনিবার বেইলি রোডে গাইড হাউজ মিলনায়তনে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ-এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন, সদস্য যাচাই-বাছাই ও পুনর্মূল্যায়নের জন্য উপস্থিত সাধারণ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে নির্মাতা সৈয়দ শাকিলকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি’ গঠন করা হয়।
ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের চলমান কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল নানা সংকট। নানা রকম অভিযোগও ছিল সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। বেশ দীর্ঘ সময় ধরে সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে ছিল। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সংগঠনের প্রতি আস্থা ফেরাতে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন সাধারণ সদস্যরা।
সৈয়দ শাকিলের আহ্বানে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—চয়নিকা চৌধুরী, সকাল আহমেদ, ফরিদুল হাসান, এহসানুর রহমান, ইমরাউল রাফাত, তুহিন হোসেন, মোস্তফা মনন, মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ, ফেরারী অমিত, রাজিব সালেহীন, মনিরুজ্জামান লিপন, জাকিউল ইসলাম রিপন, শাহনেওয়াজ রিপন ও খলিলুর রহমান নয়ন।
নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মাথায় বিতর্কিত হয়ে পড়ে তাদের কার্যক্রম। গত দেড় বছর ধরে নানা সংকটে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল চলমান কমিটি। সভাপতি অনন্ত হীরা, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন কমিটির ১৭ জন সদস্য। সংকট নিরসনে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস (এফটিপিও) এগিয়ে এলেও হয়নি সমাধান। অস্থিরতার জন্য দায়ী করে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে এফটিপিওর সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সেসব ঘোষণা তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করেই কার্যক্রম চালাচ্ছিল কমিটির কর্তারা। সর্বশেষ ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরেও কম সমালোচনা হয়নি। জানা গেছে, সংস্কার কমিটি হলেও কার্যনির্বাহী পরিষদের নিয়মিত দায়িত্বে পালনে কোনো বাধা নেই। সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কমিটির চারজন এরই মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।