
লেবানন থেকে মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম দিয়েছে হিজবুল্লাহ। সময়সীমা শেষের পর নেতানিয়াহু বাহিনী দেশটির ৫টি স্থানে মোতায়েন থাকবে, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এমন শর্তও প্রত্যাখ্যান করেছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাইম কাশেম।
লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে ইসরাইল। হামলা চালাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন স্থানে। চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯০০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এমনকি চুক্তি অনুযায়ী এখনো লেবানন থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করেননি নেতানিয়াহু। এবার দেশটি থেকে সব সেনা সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে সময় বেধে দিলো হিজবুল্লাহ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইলের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তা দেন হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাশেম। আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে লেবানন থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই সময়সীমা পার হলে দেশটিতে অবস্থানকারী সেনাদের দখলদার বলে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
এছাড়া মঙ্গলবারের পর নেতানিয়াহু বাহিনী দেশটির ৫টি স্থানে মোতায়েন থাকবে, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এমন শর্তও প্রত্যাখ্যান করেন নাইম কাশেম।
চুক্তি মেনে ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিতে লেবানন সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান হিজবুল্লাহ প্রধান। একইসঙ্গে দেশটিতে ইরানের বিমান অবতরণের অনুমতি দেয়ার আহ্বানও ছিল তার ভিডিও বার্তায়।
ইসরাইলের হুমকি থাকায় গেল সপ্তাহে রাজধানী বৈরুতে ইরানের উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমতি দেয়নি লেবানন।
গেল বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির অধীনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে লেবাননের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল। তবে ইসরাইলি বাহিনী সেনা সরাতে ৬০ দিনের সময় চাইলেও, পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।