বুধবার (১ জানুয়ারি) দ্য সান প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাদের স্ত্রী ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত আসমা আসাদ ডিভোর্স চাচ্ছেন এমন গুজবের মধ্যে চমকে দেয়া একটি তথ্য আসে। রাশিয়ার সাবেক এক শীর্ষ গুপ্তচর পরিচালিত অনলাইন অ্যাকাউন্ট ‘জেনারেল এসভিআর’ দাবি করে আসাদকে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাশার আল-আসাদ গত রোববার মস্কোর একটি নির্জন অ্যাপার্টমেন্টে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৫৯ বছর বয়সি আসাদ মস্কো কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা চান। তারপর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তার কাশি শুরু হয়। এ সময় তার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে।
সূত্রটির দাবি, আসাদকে তার অ্যাপার্টমেন্টে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার তার অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরীক্ষায় তার দেহে বিষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে পালিয়ে বাশার আল-আসাদ মস্কোতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিরাপত্তাবলয়ে রয়েছেন।
ঘটনার সূত্র ধরে জেনারেল এসভিআর আরও জানিয়েছে, ‘এটি নিছক একটি স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় নয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে হত্যার পরিকল্পনার শঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।’ আসাদের শরীরে বিষক্রিয়ার বিষয়টি মেডিকেল পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেছে জেনারেল এসভিআর। তবে এই দাবির পেছনে সরাসরি কোনো উৎস বা সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
রুশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বা নিশ্চিতকরণ বার্তা আসেনি। মস্কোর কূটনৈতিক মহলে এই ঘটনা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। আসাদকে কে, কেন এবং কীভাবে লক্ষ্যবস্তু বানালো-তা নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই গভীর হচ্ছে।
গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করার পর দেশ ছেড়ে পালান বাশার আল-আসাদ। তবে অসুস্থ থাকায় তার স্ত্রী আসমা আগে থেকেই মস্কোতে অবস্থান করছিলেন।
সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে, বাশারকে ডিভোর্স দিয়ে নিজের জন্মস্থান যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন আসমা। তবে, পরবর্তীতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তথ্য গুজব।
যুক্তরাজ্যে সিরীয় বাবা-মায়ের ঘরে ১৯৭৫ সালে জন্ম হয় আসমার। তিনি ২০০০ সালে বাশারকে বিয়ে করেন। হাফেজ, জেইন এবং করিম নামে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।