পৌষের শীতে কাঁপছে সারা দেশ। রাজধানীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আরও দুই থেকে তিন দিন।
শীতে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। হাড় কাঁপানো শীতে মিলছে না কাজ। দিনমজুর-নিম্ন আয়ের মানুষের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। তাদের এই তিক্ত অবসর কাটছে আগুন জ্বালিয়ে। এই তাপই যেন শীতে তাদের একমাত্র ভরসা।
মৌসুমি পিঠার দোকান আর চায়ের টংয়েও দেখা মেলে ভিন্ন আমেজ। ধোঁয়া ওঠা পিঠা কিংবা গরম চায়ের চুমুকে শীতের তীব্রতাকে প্রশমিত করতে ব্যস্ত নগরীর বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনভর রাজধানীর আকাশে দেখে মেলেনি সূর্যের। কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল ব্যস্ত নগরী। নিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে হিমেল বাতাস যোগ হওয়ায় অনুভূত হয় তীব্র শীত।
এদিন রাজধানীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘন কুয়াশার কারণে রাজধানীসহ সারা দেশেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি থাকবে আরও দুই থেকে তিন দিন।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি কোথাও কোথাও ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে গেছে। বিশেষ করে রংপুর ও ঢাকা বিভাগে তাপমাত্রা অনেক কমেছে।
এদিকে শীত বস্ত্রের দোনকানগুলোতেও চলছে দরকষাকষি। সুলভ মূল্য শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করেন অনেকে।