বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। পর্দায় নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে যেন কোনো কমতি রাখেন না এই তারকা। বহুবার এমন অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা অভিনয়কে আরও অনেক বাস্তব করে তুলেছে। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন সিনেমাপ্রেমীরাও।
এদিকে, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে ক্ষয়ের নতুন ছবি ‘স্কাই ফোর্স’। তবে ছবিটি নিষিদ্ধ করেছে চারটি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও ওমানে ‘স্কাই ফোর্স’ দেখা যাবে না।
সংবাদ প্রকাশের পর অনেকের দাবি, ‘স্কাই ফোর্স’ নাকি ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বকে আবারও হাতিয়ার বানিয়েছে। সেই কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভারতের স্বাধীনতার সময় থেকে দুই দেশের বৈরিতা। সেই দ্বন্দ্ব ছবির মাধ্যমে পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ুক তা চাইছে না ওই অংশের দেশগুলো। সিনেমা দেখানো সমীচীন মনে করছে না তারা। এমনই জানিয়েছেন ছবির সঙ্গে যুক্ত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ফাইটার’ বা ‘রুস্তম’ ছাড়া এর আগে একই কারণে একাধিক ছবি পশ্চিম এশিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যেমন, ‘আর্টিকেল ৩৭০’ (২০২৪) ছবিকে মুক্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। ২০২৩-এর দীপাবলিতে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘টাইগার ৩’ কুয়েত, ওমান এবং কাতারে নিষিদ্ধ হয়েছিল। ২০২২-এ বিজয় থালাপতি অভিনীত ‘বিস্ট’ কাতার এবং কুয়েতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদকে তুলে ধরার কারণে।
যদিও একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘স্কাই ফোর্স’ নিষিদ্ধকরণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। সিনেসমালোচক এবং সিনেবিশেষজ্ঞেরা ছবি দেখে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন।
তাদের দাবি, ‘স্কাই ফোর্স’-এ নিষিদ্ধ করার মতো উগ্র জাতীয়তাবাদ দেখানো হয়নি। সাম্প্রতিক কোনও হিন্দি ছবিতেই এই ধরনের কোনও বার্তা বা দৃশ্য দেখানো হয়নি। ফলে, পশ্চিম এশিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা বিরাট বিস্ময়।’
প্রসঙ্গত, এরআগে হৃতিক রোশনের ‘ফাইটার’ ও অক্ষয় কুমারের ‘রুস্তম’ সিনেমা মুক্তির আগেই বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অক্ষয়ের নতুন ছবির সঙ্গে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
অক্ষয় ছাড়াও ‘স্কাই ফোর্স’ ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন সারা আলী খান, নিমরত কৌর, শরদ কেলকারসহ অনেকে।