মালয়েশিয়ায় অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। নাম নিবন্ধনের জন্য আর মাত্র দুই সপ্তাহ সময় পাবেন অভিবাসীরা। এদিকে কর্মসূচি আরও গতিশীল করতে ছুটির দিনেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার খোলা রাখার সি দ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা যাতে বৈধভাবে ও কোনোরূপ হয়রানি ছাড়া নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে অভিবাসন প্রত্যাবাসন কর্মসূচি গ্রহণ করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
চলতি বছরের ১ মার্চ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি শুরু হয়। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। বিভিন্ন দেশের ২ লাখেরও বেশি প্রবাসী এই কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি প্রায় ৩১ হাজার ৪১ জন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসী তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রত্যাবাসন হয়েছে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও নেপালের নাগরিকরা।
এই কর্মসূচির মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ফলে শেষ সময়ে নাম নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে। সে কারণে আগামী ২১ ও ২৮ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির দিনও ইমিগ্রেশন কাউন্টার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) অভিবাসন বিভাগের সদর দফতরে কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান।
তিনি বলেন, অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন দূতাবাস থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভিবাসন বিভাগ বিষয়টি পরবর্তীতে বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে যেসব অবৈধ অভিবাসী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে চায়, তাদের ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় জন্ম নেয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের ওপরও এই জরিমানা প্রযোজ্য।
তবে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি শেষে অভিবাসন বিভাগের অভিযানে যদি কোনো অবৈধ অভিবাসী আটক হয়, সে ক্ষেত্রে তার ৩ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা প্রদান করতে হবে। এই লোকসান থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই ৩১ ডিসেম্বরের আগে এই কর্মসূচির মাধ্যমে দ্রুত নাম নিবন্ধন করতে হবে, বলেন পরিচালক।