
মালয়েশিয়ায় চলছে অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযান। প্রতিদিন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অভিযানে গ্রেফতার হচ্ছেন শতশত অবৈধ অভিবাসী। দেশটিতে যারা অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তাদের বেলায় অপেক্ষা করছে কঠোর আইনি ব্যবস্থা। সময়ক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার হারিয়ান মেট্রোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ পরামর্শ দিয়েছেন, মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের (জেআইএম) কুয়ালালামপুরের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ।
ওয়ান ইউসুফ বলেছেন, তার বিভাগ রাজধানীর আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্থান চিহ্নিত করেছে যেগুলি বিদেশিদের বসতি স্থাপনের জন্য ‘বাসা’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তার মতে, কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ বিশেষ করে রাজধানী শহরে ট্যালকম পাউডারের ডাম্পিং রোধে আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করবে এবং আরও ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করবে।
সৌপি বলেন, বেশ কয়েকটি বসতি চিহ্নিত করেছি যেগুলি বর্তমানে পর্যবেক্ষণাধীন এবং অদূর ভবিষ্যতে ফলো-আপ অভিযান চালানো হবে।” তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে, অবৈধ অভিবাসী এবং নিয়োগকর্তাদের লক্ষ্য করে বৃহৎ পরিসরে অভিবাসন কার্যক্রম বাড়ানো হবে।”
ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সকল বিদেশি বা স্থানীয় নাগরিকদের নিয়োগকর্তাদের তদন্ত করা হবে এবং আপস ছাড়াই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানী জুড়ে ১১৯টি আইন প্রয়োগকারী অভিযানের মাধ্যমে ৯০০ জনেরও বেশি অভিবাসী এবং ৩০ জন নিয়োগকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের মধ্যে, মিয়ানমারের ১৯৮, ইন্দোনেশিয়ান ১৯২, বাংলাদেশি ১৬৫, পাকিস্তানি ৫৮ এবং ৪৭ জন চীনা নাগরিক এবং আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশের বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।
সৌপি বলেন, গত ডিসেম্বরে শেষ হয় অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি। এখনও যারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অবিলম্বে ইমিগ্রেশন অফিসে আত্মসমর্পণ করুন, কোনও অভিযানে আটক হওয়ার অপেক্ষা করবেন না।