
মাদারীপুর শহরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। ফলে বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। এছাড়াও ঈদ ও পূজা এলে এ যানজট কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কম ভাড়ায় দ্রুত ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশাকে বেছে নেন স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা। এদিকে ইজিবাইক ও রিকশা রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যে যেখানে পারেন সেখানেই পার্কিং করে রাখছেন। যেখানে সেখানে ইউটার্ন নেওয়ার পাশাপাশি যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে সড়কে যানজট বাড়ছে। এছাড়া এসব যানবাহনের অবাধ চলাচল ও চালকদের অনেকের দক্ষতা না থাকায় বাড়ছে দুঘর্টনা।

জানা যায়, মাদারীপুর শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরাণবাজারের প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। এছাড়াও পুরানবাজার যেতে চাঁনমারি রোড, কাজীরমোড়, মিলন সিনেমা রোড, বাদামতলা রোড, ডিসি ব্রিজ, ১ নম্বর শকুনি রোড, কলেজ রোড, সদর হাসপাতাল রোড, কাঠপট্টি, ইটেরপুল, শকুনী লেকপাড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে যানজট এখন শহরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী।
জেলার পুরাণবাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া বলেন, মাত্রাতিরিক্ত ইজিবাইক ও রিকশা বেড়েছে। ফলে শহরের সবখানেই জটলা লেগেই থাকছে। বিশেষ করে পুরানবাজার থেকে যেন যানজট কমছেই না। সবসময় জট লেগে থাকে। বাজারে ঢুকতে কাজীর মোড় ও মিলন সিনেমা হলের সড়কে সবচেয়ে বেশি যানজট থাকে। ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন বিশেষ সময়গুলোতে শহরজুড়ে যানজট আরও বেড়ে যায়। সামনে ঈদুল আযহা, তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তারা যেন এ ব্যাপারে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
মাদারীপুর সরকারি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী মিথিলা আক্তার বলেন, শহরে গত দুই বছর ধরে যানজট অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দিন যতই যাচ্ছে, ততই যানজট বাড়ছে। এটার প্রধান কারণ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ইজিবাইকচালক সৈকত হোসেন বলেন, যানজটের অন্যতম কারণ হলো যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিং আর ফুটপাতে গড়ে ওঠা দোকান। এগুলো না থাকলে যানজট থাকবে না। তাই শুধু শুধু আমাদের দিকে আঙুল না তুলে এগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। তা হলেই শহরের যানজট কমবে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহরের সড়কগুলো ছোট হওয়ায় অনেক সময় যানজট দেখা যায়। তবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশও কাজ করছে। এছাড়া যেখানে সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং ও তিন চাকার যানবাহন বাণিজ্যিক এলাকায় যাওয়ার জন্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যানজট কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।