
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ গত মৌসুমেও শিরোপাটা ঘরে তুলেছে। কিন্তু ফরম্যাট বদলে এই মৌসুমে মাঠে গড়ানোর পর প্রিয় প্রতিযোগিতায় হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছে রিয়াল। এমনকি প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বের আগেই বাদ পড়ার শঙ্কায় আছে লস ব্লাঙ্কোরা। তবে ডু অর ডাই ম্যাচে আটালান্টার বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। সিরি আ’র দলটির বিপক্ষে গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে মাইলফলক ছোঁয়া গোলের দিনে নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছেন এমবাপ্পেই। ফরাসি সুপারস্টার যে মাঠ ছেড়েছেন চোট নিয়ে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই ম্যাচ হারার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জেউইস স্টেডিয়ামে স্বাগতিক আটালান্টাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে সফরকারীরা। এদিন কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে চার্লস ডি কেতেলারে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামের গোলে ফের এগিয়ে যায় রিয়াল। কিন্তু আদেমোলা লুকমান একটি গোল শোধ করলে ম্যাচ জমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত এক গোলের লিড ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে সফরকারী রিয়াল।

এই জয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখলেও নিশ্চিন্তে মাঠ ছাড়তে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। এমবাপ্পে ম্যাচের দশম মিনিটে গোলের খাতা খোলার কিছুক্ষণ পরেই যে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। এই মৌসুমে একটার পর একটা ইনজুরি বিপর্যস্ত করে তুলেছে লস ব্লাঙ্কোদের। এরই মধ্যে এসিএল ইনজুরির কারণে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে দানি কার্ভাহাল ও এদার মিলিতাওয়ের। এমবাপ্পের ইনজুরি নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে রিয়ালের জন্য।
তবে কোচ আনচেলত্তি আশাবাদী যে, এমবাপ্পের ইনজুরি খুব একটা গুরুতর হবে না। ম্যাচের পর মোভিস্টারকে তিনি বলেন, ‘এমবাপ্পে মাত্রাধিক্য চাপের কারণে নিতম্বের অস্বস্তিতে ভুগছেন তিনি।’
আনচেলত্তি বলেন, ‘এটা গুরুতর মনে হচ্ছে না, কিন্তু আমরা আগামীকাল (বুধবার) পরীক্ষার পর বুঝতে পারব। সে দৌড়াতে পারছে না, যা তাকে পীড়া দিচ্ছে এবং আমরা বদলি নামানোর সিদ্ধান্ত নেই।’

চলতি মৌসুমে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে পিএসজি থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এমবাপ্পে। তবে নতুন ক্লাবের হয়ে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে না পারায় বেশ সমালোচিত হচ্ছিলেন তিনি। তবে গতকাল স্বরূপে ফিরেছিলেন এমবাপ্পে। আটলান্টার বিপক্ষে মৌসুমের সেরা রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। দশম মিনিটে দারুণ এক গোল করেন। যেটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার ৫০তম গোল। প্রতিযোগিতাটিতে ৭৯ ম্যাচে ৫০ গোলের পাশাপাশি ২৭টি গোলে সহায়তাও করেছেন তিনি।
এদিন গোল ছাড়াও বেশ কয়েকবার দারুণ গতিতে ওপরে উঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ত্রাসও ছড়িয়েছেন। কিন্তু বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি।
ম্যাচের ৩৫টম মিনিটে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রদ্রিগো। চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
পেশির ইনজুরির কারণে গত দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে কাটানো ভিনিসিউস জুনিয়রও এই ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। বেশিরভাগ সময় চেনা ছন্দে না থাকলেও ৫৬ মিনিটে তার গোলেই ফের লিড নেয় রিয়াল। বাজে সময় কাটিয়ে ছন্দে ফেরা বেলিংহ্যামও এই ম্যাচে গোল পেয়েছেন।