ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের আগেই বসনিয়ার জালে বল পাঠাল জার্মানি। এরপর আর বিরাম নেই। একর পর এক আক্রমণের ঢেউয়ে নাকাল বসনিয়া। মাঠে ধ্বংসলীলায় মত জার্মান মেশিন। একে এক সাতবার বল পাঠাল প্রতিপক্ষের জালে। একপেশে লড়াইয়ে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউট পর্বে পা রাখল ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ফ্রেইবুর্গে বসনিয়াকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে জার্মানি। জার্মানির পক্ষে টিম ক্লাইনডিন্সট ও ফ্লোরিয়ান রিৎজ জোড়া গোল করেছেন। বাকি গোলগুলো করেন জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্টজ ও লেরয় সানে।
এদিকে দিনের আরেক খেলায় হাঙ্গেরিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের রানার্স আপ হয়েছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের পক্ষে ভেগহর্স্ট, গাকপো, ডামফ্রিস এবং কুপমেইনার্স গোলগুলো করেন।
৫ ম্যাচে ৪ জয় ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট জার্মানির। গ্রুপ রানার্সআপ নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে হাঙ্গেরি। আর আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়া বসনিয়া ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে।
এদিন জার্মানিকে এগিয়ে দেন মুসিয়ালা। কিমিখের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন তিনি। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লাইনডিন্সট। বক্সের বাইরে থেকে হোবার্ত আন্ড্রিসের শটে হালকা টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। জাতীয় দলের হয়ে এটিই তার প্রথম গোল।
একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তোলা জার্মানি ব্যবধান আরও বাড়ায় ৩৭ মিনিটে। ফ্লোরিয়ান রিৎজের পাস থেকে কোনাকুনি শটে গোল করেন হাভার্টজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও দুইবাদ বসনিয়ার জালে বল পাঠায় জার্মানি। ৫০ মিনিটে দারুণ ফ্রি-কিকে গোল করেন রিৎজ। এর ৭ মিনিট পরেই ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেন বেয়ার লেভারকুসেনের এই গোলরক্ষক।
৬৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন সানে। রিৎজের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড। তার জোরাল শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ৭৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্লাইনডিন্সট।
এদিকে হাঙ্গেরির বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটি ছিল ঘটনাবহুল। ম্যাচের শুরুতেই হাঙ্গেরির কোচ অ্যাডাম স্লাই বেঞ্চ থেকে পড়ে যান। ফলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। মেডিকেল স্টাফরা দ্রুতই তার কাছে যান এবং প্রাথমিক সেবা দেন। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে খেলা আবার শুরু হলে ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ডাচদের এগিয়ে দেন ভেগহর্স্ট। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাকপো। এই গোলটিও পেনাল্টি থেকে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান ডামফ্রিস। ৮৬ মিনিটে হাঙ্গেরির কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন কুপামেইনার্স।