
পশ্চিমবঙ্গে আবারও করোনার চোখরাঙানি। সংখ্যায় কম হলেও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে এখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলছে। সম্প্রতি সেখানে চার জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে একজন গৃহবধূ, একজন প্রসূতি মা ও দুই কিশোর রয়েছে।
আক্রান্ত গৃহবধূ ও কিশোর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার মগরাহাটের বাসিন্দা। তারা দুজনই মূলত শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে আসেন। রোগের কারণ জানতে করা হয় সোয়াব টেস্ট। তাতে দুজনেরই করোনা পজেটিভ ধরা পড়েন।
অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত প্রসূতি মা কাঁকুড়গাছির একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ১৫ বছরের আরেক কিশোর করোনায় আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়।
নতুন করে করোনার এই সংক্রমণের খবর পাওয়ার পর থেকেই স্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে। যদিও এতে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত বছর জানুয়ারির শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু গত বছরের মোট কতজন আক্রান্ত হয়েছিল তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আতঙ্কের তেমন কিছু নেই। যাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল, তারা সবাই এখন সুস্থ আছেন ও বাড়িতেই আছেন। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর সতর্ক রয়েছে। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।
চিকিৎসক এসএন পোদ্দার বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো দরকার নেই। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টর মতো সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাইরে থেকে বাড়িতে এলে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।