
মে দিবস ঘিরে টানা তিনদিনের ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ফাঁকা নেই হোটেল-মোটেল। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল থেকে সাদাপাথর, জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দিসহ সিলেটের সবকটি পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
নগরীর লাক্কাতুড়া চা বাগান, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারসহ বিভিন্ন স্পটে ছিল ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণা।
বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস এবং শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় তিনদিনের টানা ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সেই সুযোগে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে সিলেটে বেড়াতে এসেছেন অনেকে।
এদিন সকাল থেকেই সিলেটের প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্র রাতারগুল, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, জাফলং পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল। শুক্রবার এবং এমনকি শনিবারও এসব স্পটে পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা এ খাতের ব্যবসায়ীদের।
আম্বরখানা এলাকার হোটেল শেরাটনের স্বত্বাধিকারী সুজন আহমদ জানান, তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে অসংখ্য পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং ছিল। যারা আগে হোটেল বুকিং করেননি, তারা এসে বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে জিন্দাবাজার, দরগাহ গেট ও আম্বরখানা এলাকার কোনো হোটেলে রুম খালি নেই।
এদিকে, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, সিলেটে পর্যটকের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যটন স্পটগুলোতে পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
তিনি জানান, টানা তিনদিন পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পর্যটন স্পটগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।